কাঁঠাল গাছের বৈশিষ্ট্য কি? ও বিস্তারিত জানুন
কাঁঠাল গাছের বৈশিষ্ট্য কি কাঁঠাল গাছটি ১৫ থেকে ২০ মিটার (৫০-৭০ফুট)লম্বা হয় এবং বড় শক্ত চকচকে সবুজ পাতা প্রায় ১৫ থেকে ২০ সেমি(৬-৪ইঞ্চি) লম্বা হয়। ছোট ইউনিশেকসুয়াল,ফুলগুলি ঘন ফুলের উপর বহন করে যা সরাসরি কান্ড এবং শাখা থেকে দিয়ে আসে।
কাঁঠাল গাছের বৈশিষ্ট্য কি?
কাঁঠাল, (Artocarpus heterophyllus),চিরসবুজ গাছ (পরিবার Moraceae),গ্রীষ্ম মন্ডলীয় এশিয়ার স্থানীয় এবং এর বড় ফল এবং টেকসই কাঠের জন্য জলাভূমি গ্রীষ্ম মন্ডল জুড়ে ব্যাপকভাবে জন্মায়। সবুজ রঙের কাঁচা ফল হিসাবে রান্না করা হয় এবং বাদামি পাকা ফল বীজের চারপাশে অ্যাসিড কিন্তু নিষ্প্রভ সজ্জার জন্য তাজা খাওয়া হয়।বীজ স্থানীয় ভাবে রান্না করে খাওয়া হয়।
ভুমিকাঃ
চলুন যানা জাক কাঁঠাল গাছের বৈশিষ্ট্য কি কাঁঠাল গাছের উচ্চতা ২১ মিটার পযন্ত হয়। কাঁঠাল সাধারণত বছরে একবার ফল দেয়। কাঁঠাল একটি বি-বীজপত্রী,কাঠ চিরহরিৎ বৃক্ষ। বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বা কলম পদ্ধতিতে চারা তৈরি করে রোপন করা হয়ে থাকে। শ্রাবণ ভাদ্র মাস চারা রোপনের উপযুক্ত সময়। কাঠ শক্ত হলদে রংয়ের হয়। বিজ সাদা ও ফুল সবুজ রঙের হয়। পাতা সরল ডিম্বকৃতি এবং সবুজ।
কাঁঠাল গাছের বৈশিষ্ট্য কি ও বিস্তারিত জানুনঃ
বাংলাদেশে কাঁঠালের অনুমোদিত জাত কম।কেবল বাড়ি উদ্ভাবিত কয়েকটি জাত ও লাইন রয়েছে কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এটি খুবই সুস্বাদু ও
পুষ্টিকর ফল। অন্য সব ফলের চেয়ে কাঁঠাল আকারে বড়। কাঁঠাল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus.
বাংলাদেশের সব জেলাতে কাঁঠালেরচাষ হয়। গাজীপুর টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের ভাওয়াল এলাকায় কাঁঠালের বাগান করা হয়। সিলেট চট্টগ্রাম ও রংপুর এলাকায় কাঁঠাল চাষ করা হয়। কাঠাল লাল মাটির উঁচু জমিতে ভালো জন্মে। এই উদ্ভিদের কাঠ ও ফলের প্রচুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। কাঁঠাল পাতা দুর্যোগ কালীন সময়ে গরু ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।
কাঁঠাল গাছের বৈশিষ্ট্য কি কাঠাল এক প্রকারের হলুদ রঙের সুমিষ্ট গ্রীষ্ম কালীন ফল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসাবে সরকারি ফাবে নিধারিত। বাংলাদেশের সর্বত্র কাঠাল গাছ পরিদৃষ্ট হয়। কাঁচা কাঠালকে বলা হয় এঁচোড় যা বাঙালি সমাজে গাছ পাঠা নামে ও সমাধি পরিচিত।কাঁঠাল গাছের কাঠ আসবাব পত্র তৈরীর জন্য সমাদৃত।কাঁঠাল পাতা বিভিন্ন প্রাণীর পছন্দের খাদ্য।
তুলনামূলকভাবে বিশালকার এই ফলের বহিভাগ পুরু এবং কান্ট কাকীন অন্যদিকে অন্তরভাগে একটি কান্ত ঘিরে থাকে রসালো কেয়ে বা কোষ। কাঁঠালের বৃহদাকার বীজ কোয়ার অভান্তর ভাগে অবস্থিত। কাঁঠাল হল বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার জাতীয় ফল এবং ভারতের কেরালা ওতামিল নাড়ুর রাজ্য ফল। কাঁঠালের বেশ কিছু জাত রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতে চাষকৃত জাত সমৃহ মোটামুটি দুটি ভাগে ভাগ করা যায় । গালা ও খাজা এ দুটি কাঁঠালের আরো জাত আছে।
গালা ও খাজা কাঁঠালের মাঝামাঝি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হিসেবে রয়েছে রস খাজ।এছাড়া আছে রুদ্রক্ষী সিঙ্গাগুর সিলোন বারোমাসী গোলাপ গরুা মেঘগন্ধ, পদ্মরাজ, হাজরী প্রভৃতি।তন্মধো শুধুমাত্র হাজরি কাঁঠাল বাংলাদেশে আছে। কখনো চাইলেও ভুলতে না পারা প্রেমকে কাঁঠালের আটার সঙ্গে তুলনা করা হয় আসলেই কাঁঠালের আঠা খুবই নাছরবান্দা।তাইতো হাতে সরষের তেল মেখে কাঁঠাল ভাঙতে হয়।
আর অসাবধান হলে গল্পের কাবলিওয়ালার মত কাঁঠালের আঠা লেগে যাওয়ার দাড়ি গোঁফ কামিয়ে অস্বস্তিকর অবস্হা হতে পারে।চিরচেনা এই ফলটিকে আমের মতো দাম না দিলেও আমাদের জীবনের সঙ্গে জুড়ে আছে অবিচ্ছেদ্যভাবে।গ্রামবাংলায় এই দিনে ও যুগে যুগে সাধারণ মানুষের পেট ভরাচ্ছে পুষ্টি যোগাচ্ছে কাঁঠাল। তবে খুব চেনা হলেও কাঁঠালের ব্যাপারে সবকিছু হয়তো আমাদের জানা নেই।
কাঁঠাল খেলে কি কি উপকার হয়?
কাঁঠাল খেলে কি কি উপকার হয় চলুন যানা জাক কাঁঠালে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। আলসারের সমস্যা প্রাকৃতিক উপায়ে কমাতে সাহায্য করে। কাঁঠালের থাকা এক ধরনের উপকারী উপাদান। বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেনটের উৎস কাঁঠাল।
এসব উপাদান হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মত রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে কাঁঠালখেলে। কারণ কাঁঠালের থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেনটআমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। আইরন মেলে ফলটি থেকে। এই খনিজ উপাদান রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি কাঁঠাল থেকে।
নিয়মিত ফলটি খেলে তাই ত্বক ভালো থাকে ও ত্বকের রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দূরে রাখা যায়।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কাঁঠালের থাকা ভিটামিন সি। ফাইবারের ভালো একটি উৎস কাঁঠালকোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থেকে দূরে সম্ভব হয় নিয়মিত কাঁঠাল খেলে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে কাঁঠালের। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
কাঁঠাল খেলে কি কি উপকার হয় কাঁঠালের থাকা প্রোটিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ব্লাড সুপার নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁঠালের থাকা ভিটামিন সি চুল, দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া ক্যান্সার ও টিউমার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কাঁঠালে থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে কাঁঠাল খেলে ফলে অস্বস্তিকর খাবার থেকে দূরে থাকা যাই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এছাড়া অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন এ ভিটামিন সি ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম কপার ও ম্যাংগানিজের উৎস কাঁঠাল। কাঁঠালের মৌসুমি নিয়মিত ফলটি খেলে পাওয়া যায় যাবে অনেক উপকার। কাঁঠালের শিকড় জ্বর ও ডায়াবেটিস নিরাময়ে খুব ভালো উপকার করে। যাদের হাঁপানি সমস্যা রয়েছে তারা কাঁঠালের শিকড় সিদ্ধ করে। তা গ্রহণ করলে হাঁপানি সমস্যা সহজে নিরাময় করতে সহায়তা। তাছাড়া ও চর্মগো সমস্যার সমাধানে খুবই কার্যকরী এছাড়া ও এই জেলিতে রয়েছে বিতা ক্যারোটিন রাসেল ড্যামেজ প্রতিরোধক করতে সাহায্য করে থাকে।
কাঁঠাল বিচির জীবাণু নাশক গুণ ও রয়েছে। এটি Escherichia coli I Bacillus megaterium ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে কার্যকর এবং এতে থাকাবিশেষ উপাদান Jacalin এডস রোগীর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা উন্নয়নের সফল বলে প্রমাণিত হয়েছে। পুষ্টিবিদরা বলছেন কাঁঠাল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এবং মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান যেমন বেটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ,সি,বি,-১বি,২-বিহাইয়ামিন রিবোক্লানভিন পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফাইবার অ্যাট্রাকটিভ অ্যানটি অক্সিডেন্ট ম্যাংগানিজ আইরন সহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় কপার।
এছাড়া আমি শতকরা ও বিভিন্ন রকম ভিটামিন ভান্ডার হচ্ছে এই কাঁঠাল। টেনশন নার্ভাসনে ও বদহজম কমাতে কাঁঠালের ভূমিকা অনেক দুর্গন্ধকারী মা তাজ পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যে সকল পুষ্টি মানুষের দেহে প্রয়োজন তার প্রায় সব কাঁঠালে মধ্যে আছে। এজন্য বাঙালিরা পুষ্টির অভাব পূরণ করার জন্য কাঁঠাল খেয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় কাঁঠাল পুষ্টির রাজা রাজা এবং গরিবের খাদ্য হিসাবে পরিচিত।
কাঁঠাল কাঁচা পাকা খোসা বীজ শিকড় সব ভাবেই খাওয়া যায় এবং প্রতিটি স্তরই পুষ্টির চমৎকার উৎস। কাঁচা কাঁঠাল ও কাঁঠালের বিচি রান্না করে তরকারি বাহ হালুয়া ও ভর্তা হিসেবে খাওয়া হয়। আবার কাঁঠালের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে এর বৈজ্ঞানিক নাম । Artocarpus heterophyllus এবং ইংরেজিতে jaekfruit কাঁঠাল বাংলাদেশের জনমান এমন একটি ফল যার প্রতিটি অংশই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কাঁঠাল যৌগিক ফল বলা হয় কেন?
কাঁঠাল খেলে কি কি উপকার হয় কাঁঠাল কিন্তু একটি মাত্র ফল নয় অনেক অনেক ফলের সমষ্টি যে কারণে একে বলা হয় যৌগিক ফল কাটা কাটা খোসার মধ্যে যে কোষ বা কোয়া তার প্রত্যেকটি একেকটিফল ফল।আমাদের দেশের বনে বাদাড়ে,বিশেষ করে পাহাড়ি বনে এক ধরনের বুনো কাঁঠাল পাওয়া যায় তার নাম চাপালিশ বা চাম ফল।
ফলগুলো কাঁঠালে চাইতে অনেক ছোট গোলগাল, খোলসে রয়েছে অসংখ্য মিহি কাটা।এর ফল ও কাঁঠালের মত যৌগিক কোষ রয়েছে অসংখ্য ছোট ছোট চাপালিশের একটি উল্লেখ্যযোগ্য দিক হল গাছটি ছোট থাকতে পাতার আকার হয় বিশাল এবং অনেক খন্ডে খন্ডিত যা বয়স্ক পাতার সাথে একেবারে মেলে না।
যৌগিক ফল হিসেবে কিংবা চাপালিশ কাছাকাছি আমাদের আরেকটি জনপ্রিয় ফল-বৃক্ষ হল ডেউয়া। কাঁঠালের পাতার সৌন্দর্য অনন্য। পাতার রং কালচে সবুজ বিডিম্বাকৃতি,অর্থাৎ গোড়ার দিকে চিকন ও আগার দিকে প্রশস্ত ১০ -২০ সেমি লম্বা ও ৬-১২ সেমি চওড়া পুরু, পাশবশিরা৭-৮ জোড়া।পাতা নিচে শিরা গুলো স্পষ্টভাবে দেখা যায়। কাঁঠাল পৃথিবীর আশ্চর্যতম ফল গুলোর একটি বলা হয়ে থাকে।
কোনরকম রান্না বা প্রক্রিয়া না করে মানুষ খেতে পারে এমন ফলের মধ্যে কাঁঠাল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফল বড় আকারে এক একটি ফল ওজনে হতে পারে ২৫ থেকে ৩০ কেজি প্রথমে বলে নেওয়া ভালো কাঁঠালের ফুল একলৈঈিক।এর পুরুষ ও স্ত্রী ফুল একই গাছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে থাকে। কাঁঠাল নিয়ে কত যে ইয়ার্কি ফাজলামো রয়েছে আমাদের দেশে তা বলে শেষ করা যাবে না।
কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো কাঁঠালের আমসত্ত্ব, পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া, ইসিরে পাক গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল ইত্যাদি লোক কথা প্রবাদ প্রবচন ফোড়নের মাধ্যমে কাঁঠাল বলিষ্ঠভাবে বাঙালি জীবনে সাথে জড়িয়ে আছে। কাঁঠাল গাছের উপকারতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। পাতা ফুল ফল কাট এমনকি দুধ কস আঠা কাজে লাগে শিকড় ও কাজে লাগে।
এ পাতা গরু ছাগল প্রিয় খাবার ছাগলকে বসে আনতে বিকল্প নেই। কাঁঠালের কাঠ হলুদ রঙের। আসবাবপত্র তৈরিতে এর আর আমাদের দেশে বেশি ভালোভাবেই ব্যবহৃত হয়। কাঁঠাল গাছ আমাদের দেশীয় বলে দেশজ ভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড় পাখি ও প্রাণী এর শরীরে আশ্রয় নেয় একে হিসাবে ব্যবহার করে বিনিময়ে তারা পরাগায়নে সহায়তা করে।
উপকারীরা বিদেশি গাছ বাদ দিয়ে পথপাশ ও বসতবাড়িতে কাঁঠালের মত দেশীয় গাছগুলো লাগালে দেশীয় প্রাণী প্রজাতিগুলো রক্ষা পাবে নিশ্চিত। কাঁঠাল গাছ বিচি দিয়ে বংশবৃদ্ধির কাজটা সারে। তা ছাড়া কলমেও তা চলে। পাকা কাঠালে আছে দারুন সুস্বাদু।এক বসাই আস্ত কাঁঠাল সাবার করে ফেলতে পারেন কেউ কেউ এমনি নেশা ধরে খেতে বসলে।
খোটা সহকারে অসম্ভব জিনিস বুঝাতে আমরা যে বলি কাঁঠালের আমসত্ত্ব বলি তা কিন্তু সত্যি সত্যি বানানো যায় এর কোথায় রস দিয়ে শুধু তাই নয় কাঁঠাল কাঁঠাল দিয়ে চিপস বানিয়ে তা বাজারে বিক্রিও করছে থাইল্যান্ড কাঁঠালে আঠা কাঠ ও তৈজসপত্রের ছিদ্র বন্ধ করার কাজে ব্যবহার করা যায়।
কাঁঠালের ক্ষেত্রে যৌগিক প্রকৃতি?
যখন কাঁঠাল ভালোভাবে পাকে তখন অভ্যন্তরে রক্ষিত কোষ বা কোয়া অত্যন্ত কমল মিষ্টি ও রসালো প্রকৃতির হয়ে থাকে। ফল মানব দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় দারুন। এটি আমাদের জাতীয় ফল।
কাঁঠালের অনেকগুলো ফুল মিলিত হয়ে একটি ফুলের সৃষ্টি করে যাকে বলা হয় ক্যাট কিট তাই কাঁঠাল একটি যৌগিক ফল বিভিন্ন ফলের মধ্যে কাঁঠাল সবচেয়ে ফল বৃত্তের অনেকগুলো ফুল একত্রিত হয়ে কারণ কাঁঠাল গাছের পুষ্প মঞ্জুরী বা একাধিক ফুলের সমষ্টি বা ফুল গুচ্ছ মিলে একটি ফল উৎপাদন করে তাই একে যৌগক ফল বলা হয়।
এর ফলে ফলে একাধিক ডিম্বাশয় থাকায় অসংখ্য বিচি উৎপন্ন হয় ফলে গঠন অপ্রকৃত বা নির্দিষ্ট কিছু থাকে না। কাঁঠাল এবং শাপলা প্রতীক হিসেবে মন্দ না। বাংলাদেশের প্রকৃতি এবং সাংস্কৃতিক সাথে মানানসই। উভয়ে আমাদের দেশে ম্মরতীত কাল ধরে আসছে। দেশের সবত্র বিল ঝিলে শাপলা বা কাঁঠাল জাতীয় ফুল ও ফল না হয়ে যদি গোলাপ ও আপেল আমাদের জাতীয় ফুল ও ফল হলে ভালো হতো দুইটাই ভীষণ দামি তার ওপর একটাও দেশি না।
আমাদের বিদেশি প্রীতর উজ্জল দৃষ্টান্ত হতে পারতো আপেল ও গোলাপ কাঁঠাল গাছ বেশ বড় ও অনেকদিন বাঁচে। একই গাছ থেকে অনেক বছর ধরে কাঠাল পাওয়া যায়। মাঘ ফাল্গুন মাসে কাঁঠাল গাছে মুচি ধরে। মুচি থেকে কাঁঠাল হয়। চৈত্র মাস থেকে কাঠাল বড় হতে থাকে বৈশাখ মাস থেকে কাঁঠাল ধরে।কাঁঠাল গাছের শিকড় থেকে কান্ড ডালপালা পর্যন্ত কাঁঠাল ধরে ।
এক একটি কাঁঠাল আকারে বিরাট এবং ওজনেও ৩০-৪০ কেজি হতে পারে। একটি কাঁঠাল গাছে ১০০ থেকে ৩০০টি কাঁঠাল ধরে। কাঁঠাল ছোট বড় সব রকমেরই হয়। কাঁঠালের চামড়া খরখরে কাটাযুক্ত কাঁঠালের ভেতর কোষ হয়। একটি কোষে একটি বিচি থাকে। কাঁঠালের বীজ থেকে চারা গাছ হয়। গাছের গোড়ায় বেশি দিন পানি থাকলে কাঁঠাল গাছ মরে যাই। কাঁঠাল বাংলাদেশের সবত্রই কমবেশি পাওয়া যায়। নরসিংদী গাজীপুর ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল যশোর বেশি কাঁঠাল পাওয়া যায়। কাঁঠাল খুব গুরুপাক।
সহজে হজম হয় না বেশি কাঁঠাল খেলে পেটে পীড়া হয়। এজন্য কাঁঠাল একসঙ্গে বেশি খাওয়া উচিত না। অবশ্য অনেক গরিব লোক কাঁঠাল খেয়ে দিন কাটিয়ে দেয় কাঁঠাল মৌসুমী ফল বাংলাদেশের ফলের মধ্যে সবচেয়ে প্রোটিনযুক্ত ফল কাঁঠাল। তাই বাড়ির চারপাশে কাঁঠাল গাছ লাগিয়ে এর ফলন প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি করা উচিত।
লেখকের মন্তব্যঃ
কাঁঠাল গাছের বৈশিষ্ট্য কি? ও বিস্তারিত জানুন ইত্যি মধ্যে আপনি আমাদের আটিকেল পরে জেনেছেন কাঁঠাল গাছের বৈশিষ্ট্য কি ও কাঁঠালের খেলে কি কি উপকারি হয় ও বিস্তারিত। আসা করি এই আটিকেল পরে আপনার ভালো লাগবে এখান থেকে অজানা কিছু তথ্য জানতে পারবেন আমরা সব সময় চেস্টা করি সঠিক তথ্য আপনার কাছে উপস্থাপন করার।
এতক্ষন আপনার মূল্যবান সময় এই আটিকেলে ব্যয় করার জন্য অসংখ ধন্যবাদ। আমাদের সাথে থাকুন প্রয়জোনীয় তথ্য পাওয়ার জন্য এবং আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url